IQNA

ব্রিটেনের গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বরূপ 

10:32 - October 19, 2022
সংবাদ: 3472678
তেহরান (ইকনা): ব্রিটেনে নির্বাচন সমূহ না ছিল স্বচ্ছ , ন্যায্য ও পক্ষপাত শূন্য ( fair ) আর না ছিল তা (জনগণের) প্রতিনিধিত্বকারী (representative)। ভোট দেওয়ার অধিকারের জন্য হয় ভোট দাতাকে সম্পত্তির অধিকারী হতে হত অথবা ভোট দানের যোগ্যতা অর্জনের জন্য তাকে  বিশেষ বিশেষ ট্যাক্স ( কর ) দিতে হত । আর  সম্পত্তির অধিকারী হওয়া এবং বিশেষ বিশেষ কর দেওয়ার সামর্থ্য - এ দুই শর্ত না থাকায় অধিকাংশ খেটে খাওয়া জনগণকে ভোট দেওয়ার  অধিকার  থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল।

ব্রিটেনে নির্বাচন সমূহ না ছিল স্বচ্ছ , ন্যায্য ও পক্ষপাত শূন্য ( fair ) আর না ছিল তা (জনগণের) প্রতিনিধিত্বকারী (representative)। ভোট দেওয়ার অধিকারের জন্য হয় ভোট দাতাকে সম্পত্তির অধিকারী হতে হত অথবা ভোট দানের যোগ্যতা অর্জনের জন্য তাকে  বিশেষ বিশেষ ট্যাক্স ( কর ) দিতে হত । আর  সম্পত্তির অধিকারী হওয়া এবং বিশেষ বিশেষ কর দেওয়ার সামর্থ্য - এ দুই শর্ত না থাকায় অধিকাংশ খেটে খাওয়া জনগণকে ভোট দেওয়ার  অধিকার  থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল (ভূসম্পত্তির মালিক না হওয়া এবং ভোট দানের যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ বিশেষ কর দেওয়ার সামর্থ্য না থাকার জন্য অধিকাংশ খেটে খাওয়া জনগণের ভোট দানের অধিকার ছিল না।)
অতএব ব্রিটেনের পার্লামেন্ট ও হাউজ অফ লর্ডস ছিল সংখ্যালঘু এবং রাষ্ট্রের আনুকূল্য ও সকল সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত অভিজাত সামন্ত জমিদার শ্রেণী ও পূঁজিপতিদের হাতের মুঠোয় যারা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব করত না !! তাই ব্রিটেনের তথাকথিত এই সাংবিধানিক গণতন্ত্র ছিল আসলে শক্তিধর রাজতন্ত্রের ছত্রছায়ায় ওলিগার্শি ( অভিজাত সামন্ত তন্ত্র ও পরবর্তীতে অভিজাত - পুঁজিবাদ বা সামন্ত - পুঁজিবাদী তন্ত্র  বা এ ধরনের একটা অদ্ভুত কিছু !! )
 
কুখ্যাত লুটেরা রবার্ট ক্লাইভ বাংলা থেকে বিস্তর ধনসম্পদ লুট করে ব্রিটেনে নিয়ে গিয়ে সেই টাকা থেকে ব্রিটিশ সরকারী কর্মকর্তাদেরকে ঘুষ উৎকোচ দিয়ে সে নিজ শহরের মেয়র এবং এমনকি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিল !!! আসলে বিভিন্ন দেশের সম্পদ ও টাকা পয়সা লুটপাট করে এনে এ সব নব্য ধনী লুটেরা শ্রেণী ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও সরকারের হর্তা - কর্তা হয়েছিল।
 
 সুতরাং তথাকথিত ব্রিটিশ গণতন্ত্রের সাথে চোর ডাকাত বাটপার লুটেরাদের  অত্যন্ত নিবিড় ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে। আর ব্রিটেন সহ পশ্চিমা দেশগুলোর নির্বাচন তো এখনো টাকার মহা হোলি খেলা এবং ধনী পুঁজি পতিদের দান ও দয়া দাক্ষিণ্যেই তা অনুষ্ঠিত হয় । সুতরাং নির্বাচনের ফলাফল এবং সরকার গঠনে এ শ্রেণীর প্রভাব তো থাকবেই এবং সরকার ও পার্লামেন্টের সদস্যদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধাও তারা হাতিয়ে নেয় এই সুবাদে । পুঁজিপতি কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব , ব্যাংক ও অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানগুলো এবং রাজনীতিকরা মিলে সরকার ও পার্লামেন্ট গঠন করে । তাই এই দুই শ্রেণীর মধ্যে  রয়েছে গোপন - প্রকাশ্য আঁতাত। 
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
captcha